নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
পূণ্যভূমি কক্সবাজারের বুকে দীনের আলো ছড়ানো এক প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রামু রাজারকুল আজিজুল উলূম মাদ্রাসা। যুগের পর যুগ ইসলামি জ্ঞানচর্চা ও নৈতিকতার সোনালী দিগন্ত প্রসারিত করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতিমান পরিচালক, প্রজ্ঞাবান আলিম, দীনি শিক্ষার আলোকবর্তিকা মাওলানা মোহছেন শরীফ শুধু একজন শিক্ষক নন—তিনি একজন রাহবার, চিন্তানায়ক ও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের অগ্রদূতজ্ঞান, আদব ও আতিথেয়তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এমন এক আলোকিত ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে উপস্থিত হন খ্যাতিমান লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান। দ্বীনি গবেষণায় নিবেদিতপ্রাণ এই লেখকের আগমনকে মাওলানা মোহছেন শরীফ অকৃত্রিম ভালোবাসা ও স্নেহমাখা আতিথেয়তায় গ্রহণ করেন।
সাক্ষাতের একপর্যায়ে মাওলানা মোহছেন শরীফ বলেন—
“একজন সত্যিকারের লেখক কেবল কলম চালান না, বরং তিনি সমাজের দিকনির্দেশক। চিন্তাশীল, সৃজনশীল ও কল্যাণকামী মানুষ জাতির জন্য আল্লাহর রহমতস্বরূপ। লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য ও মানবতার কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়া এক মহৎ দায়িত্ব।”
এই মহান চিন্তানায়ক শুধু কথায় নয়, কর্মেও তাঁর আভিজাত্যের প্রমাণ রাখেন। মেহমানদারীর ইসলামী আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মাওলানা মোহছেন শরীফ লেখকের জন্য সুপরিকল্পিত মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেন। তাঁর আতিথেয়তায় ছিল আন্তরিকতার গভীরতম ছোঁয়া, যেখানে কোনো কিছুতে অপূর্ণতা রাখেননি। তাঁর আপ্যায়নে প্রতিফলিত হয় নববী সুন্নাহর প্রকৃত সৌন্দর্য।
সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান তার লেখা দুটি মূল্যবান গ্রন্থ— “পরকাল” ও “মদিনার ঝলক”— মাওলানা মোহছেন শরীফকে শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ উপহার দেন। এই উপহার গ্রহণ করে মাওলানা মোহছেন শরীফ লেখকের জন্য দোয়া করেন, যাতে তিনি ইসলামের খেদমতে আরও বেশি সময় দিতে পারেন এবং লেখনীর মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন।
বিদায়ের সময় লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান কৃতজ্ঞচিত্তে মাওলানা মোহছেন শরীফকে তার নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান। এই সাক্ষাৎ শুধু দুজন মনীষীর সৌজন্যমূলক আলাপচারিতা ছিল না; বরং এটি ছিল জ্ঞান, আদব ও উম্মাহর কল্যাণে নিবেদিত হৃদয়ের এক মহান মিলন, যা সমাজে আলো ছড়াবে বহুদিন।
মাওলানা মোহছেন শরীফ শুধু একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন আদর্শ নেতা, দীনি সমাজ গঠনের অনন্য পথপ্রদর্শক। তাঁর মতো আলিমরা সমাজের জন্য রহমতস্বরূপ, যাঁদের হাত ধরে দ্বীনি শিক্ষার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহ তাঁর ইলম ও খেদমতে বরকত দিন, আমিন!