শাহাদাত হোসেন নোবেল: খুলনা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এখনও চলছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের রাজনীতি ফেরানো, শিক্ষার্থীদের মারধর, মাইক কেড়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবরোধ করে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। দুপুরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কুয়েট শিক্ষার্থী মুজাহিদ জানান, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতি প্রবেশ করানো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর উষ্কানি প্রদান করে হামলা, মাইক কেড়ে নেওয়ার কারণে অন্তত ১৮জনকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। তাঁদের দাবি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধান উল্লেখপূর্বক প্রজ্ঞাপন আকারে অর্ডিন্যান্স এ যুক্ত করতে হবে। যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটে রাজনীতি প্রবেশের জন্য সহায়তা করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কুয়েট ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে এসব দাবি মানার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কেএমপি নাজমুল হাসান রাজীব জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। অন্যদিকে কুয়েটে শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।