লেখক, মু. মঈন উদ্দিন
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে আবারও নতুন আলোর ঝলক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত। এই উদ্যোগ দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে শুধু গতি নয়, গৌরবও দেবে।
বৃত্তি পরীক্ষা মানেই মেধার প্রজ্জ্বলন। প্রাথমিক স্তরে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে তৈরি হবে আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও স্বপ্ন দেখার সাহস। মফস্বল ও দুর্গম এলাকার হাজারো প্রতিভাবান শিশুর জন্য এটি হবে সম্ভাবনার সোনালী জানালা। যারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে, তাদের জন্য এই বৃত্তি হতে পারে জীবন বদলে দেওয়া এক অনন্য হাতিয়ার।
এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমন ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করবে, তেমনি শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও আরও দায়িত্ববান করে তুলবে। এতে পাঠদান প্রক্রিয়া হবে আরও ফলপ্রসূ, ফলাফল হবে বাস্তবমুখী। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই হবে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে, যা ভবিষ্যতের জন্য সঠিক ভিত্তি গড়ে তুলবে।
প্রাথমিক শিক্ষার জগতে এই ধরনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ কেবল প্রশংসনীয়ই নয়, এটি আগামী দিনের আলোকিত প্রজন্ম গঠনে সরকার ও জাতির অঙ্গীকারের একটি শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ।