বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন
                                           
ব্রেকিং নিউজঃ
দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ: ফয়জুল করিম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নে উদযাপিত হলো শোক র‍্যালি বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার শিক্ষার ভিত্তিতে — বেইজ লাইন সার্ভে ও ফিডব্যাক প্রক্রিয়ার রূপান্তরমূলক যাত্রা চট্টগ্রামে পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে পুলিশের মতবিনিময় সভা: দিনের আলোয় শেষ করতে হবে তাজিয়া মিছিল..! বিদায় ঘন্টা বাজে—আরো এক দীপ্ত প্রদীপ নিভে গেল স্বাধীন দেশে নিরাপত্তাহীন মা-বোন: কোথায় আইনের শাসন? প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার পুনরায় সূচনা: মেধা যাচাইয়ে সরকারের স্মার্ট বিপ্লব সুদের টাকার জন্য ব্যবসায়ীর উপর হামলা “নৈতিক শিক্ষা হোক পাঠ্যসূচির অগ্রাধিকার, আগামীর জন্য গড়ি আদর্শ প্রজন্ম”

“আজ বিশ্ব বাবা দিবস” সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীলতা বোঝানোর জন্য দিবসটি পালন

ডেস্ক বার্তা:

আজ ১৫ জুন, বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার কে বিশ্ববাসী বাবা দিবস হিসেবে পালন করে। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে বাবা দিবস পালনের প্রচলন হয়।

মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল, এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়। সকল সন্তানদের কাছে নির্ভরতার অন্যতম প্রতীক হচ্ছেন বাবা।সন্তানের কাছে শ্রদ্ধেয় এক গভীর অনুভূতির শব্দ এটি। নিখাদ ভালোবাসার সঙ্গে উচ্চারিত হয় বাবা’ শব্দটি। বাবা শব্দের মাঝে জড়িয়ে আছে ভালোবাসা, মায়া, নির্ভরতা।

বাবা দিবসের ইতিহাস, পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার, সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও পিতৃ দিবসের আইডিয়া আসে।

বাবা দিবসের গুরুত্ব:
বাবা দিবস পালিত হয় পরিবারে একজন অভিভাবক হিসেবে বাবা যে গুরুত্ব বহন করেন তা সম্মান করার জন্য। এই দিনটি সেই সকল বাবাদের প্রতি উৎসর্গীকৃত যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন। বাবা দিবস হল আমাদের বাবাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের এবং তাদের বিশেষ বোধ করার একটি দিন।

বাবা—জীবনের প্রথম নায়ক, প্রথম শিক্ষক, প্রথম আশ্রয়। যে কাঁধে আমরা শান্তির ছায়া পাই, যে হাত ধরে আমরা জীবনের পথে এগিয়ে যাই। বাবা দিবস সেই দিন, যখন আমরা তাঁদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের সম্মানে মাথা নুইয়ে ধন্যবাদ জানাই।
ধীরে ধীরে সে ছোট্ট বীজ বেড়ে উঠল বিশ্বব্যাপী সম্মানের উৎসবে। ১৯৭২ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন সরকারিভাবে জুনের তৃতীয় রবিবারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেন। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে হাজারো সন্তান তাদের বাবাদের কৃতজ্ঞতা জানায়, তাঁদের অবিচল ভালোবাসা ও ত্যাগের স্বীকৃতি দেয়।

বাবার ভালোবাসা কখনো চাহিদার বাগানে বসে না, সে এক নিরব বৃষ্টির মত, ম্লান করে না, শুধু জীবন ভরিয়ে দেয়। বাবার হাত ধরেই আমরা শিখি জীবন যুদ্ধ, ধৈর্য্য আর সাহস। বাবা দিবস আমাদের সেই অমলিন বন্ধনকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যেখানে ভালোবাসার স্রোত কখনো থামে না। সুতরাং, বাবা দিবস শুধু একটি দিন নয়, এটি এক শ্রদ্ধা, এক কাব্য, এক ভালোবাসার স্মৃতি, যা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল জ্বলজ্বল করে থাকবে।
বাবা বট বৃক্ষের ন্যায় সবসময় মাথার উপর ছায়া দেন।যার বাবা নেই সে জানে বাবার গুরুত্ব।তাই আমাদের প্রত্যেকের যাদের বাবা আছে তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে।



ফেইসবুক পেইজ