এ এইচ অনিক, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ছোট-বড় সরকারি কয়েকটি খালে মাছ ধরা ঝাউঁ বা ঝাইল ঘেরার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্যে লাভবান হচ্ছে একটি মহল আর স্বর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে এলাকার বহু জেলে পরিবার অনুসন্ধানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা ছিদ্দির ঘোপ থেকে নয়া কান্দী হয়ে হারতা বাজার পর্যন্ত কচা নদীর শাখার এই খালের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে খালের দুপাশের কচুরিপানা বাঁশ দিয়ে ঘিরে ঝাঁউ তৈরী করে মাছ ধরার অবৈধ ফাঁদ নির্মান করে লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্য করছেন কিছু অসাধু জেলেরা। আর এ সুযোগে ওই এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল তাদের জমির সম্মুখের সরকারি খালে ঝাঁউ দেয়ার জন্য সুযোগ করে দিবে বলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, জামাল মিয়া,সহিদ মিয়া,আসফিয়া বেগম,রহমান মিয়া,মামুন হোসেন, হাসিনা বেগম, কবির মিয়া,ওসমান মিয়া,আকবর হাওলাদার,সোনা মিয়া, ফায়জুল মিয়া,ওবায়দুল হাওলাদার সহ অসাধু ঐচক্রটি প্রতারণা করে জেলেদের কাছ থেকে ঝাঁউ দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যে ওই এলাকার ভুক্তভোগী অসহায় জেলে আব্দুল হক হাওলাদার জানান আমি প্রতিবছর খালে ঝাঁউ বাবদ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দেই। এখানে আমার অনেক লস হয় তবুও লাভের আশায় খালে ঝাঁউ দেয়ার জন্য লীজ নিয়ে থাকি। এছাড়াও বিষার কান্ধী থেকে পয়সার হাটের নদীর একই চিত্র। যে-কারণে এলাকার একাধিক জেলেরা প্রতারণার শিকার হয়ে স্বর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে।
অভিযুক্তদের একজন ফায়জুল মিয়া আমাদের প্রতিনিধি কে জানান আমি খাল লীজ দেইনি। তবে আমার ভাই জামাল মিয়া গত বছর ঝাঁউয়ের জন্য লীজ দিয়েছিলো তভে এ বছর খাল লীজ দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। ফায়জুল বলেন খাল লীজ দেয়া আইন সম্মত না হলে বা প্রশাসন নিষেধ করলে, আর লীজ দেয়া হবেনা। এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথাহলে তিনি জানান বিষয়টি জানা নেই,তবে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ওই প্রতারক চক্রের খপ্পর থেকে অসহায় জেলেদের মুক্ত ও প্রতারক দের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ একইসাথে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।