বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
                                           
ব্রেকিং নিউজঃ
দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ: ফয়জুল করিম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নে উদযাপিত হলো শোক র‍্যালি বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার শিক্ষার ভিত্তিতে — বেইজ লাইন সার্ভে ও ফিডব্যাক প্রক্রিয়ার রূপান্তরমূলক যাত্রা চট্টগ্রামে পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে পুলিশের মতবিনিময় সভা: দিনের আলোয় শেষ করতে হবে তাজিয়া মিছিল..! বিদায় ঘন্টা বাজে—আরো এক দীপ্ত প্রদীপ নিভে গেল স্বাধীন দেশে নিরাপত্তাহীন মা-বোন: কোথায় আইনের শাসন? প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার পুনরায় সূচনা: মেধা যাচাইয়ে সরকারের স্মার্ট বিপ্লব সুদের টাকার জন্য ব্যবসায়ীর উপর হামলা “নৈতিক শিক্ষা হোক পাঠ্যসূচির অগ্রাধিকার, আগামীর জন্য গড়ি আদর্শ প্রজন্ম”

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

মোহাম্মদ করিম, বিশেষ প্রতিনিধি:-

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম নাইতং পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকালে বন্দুকযুদ্ধে সংগঠনটির এক কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে রুমার পাইন্দু ইউনিয়নের পলি প্রাংসা ও মুয়ালপি পাড়ার মাঝামাঝি অবস্থিত তাইদং ঝিড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাইতং পাহাড়ের চূড়ায় গহীন বনাঞ্চলে চলে এই বন্দুকযুদ্ধ।

স্থানীয় সূত্র ও সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনী কেএনএফের গোপন ঘাঁটিতে অভিযান চালায়। ভোরে পাহাড়ি এলাকায় গুলির শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। এরপর শুরু হয় টানা গোলাগুলি, যাতে দুই কেএনএফ সদস্য নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেল, ৮টি ম্যাগাজিন ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ১৬-ই, ৩৬ ও ৩৭ বীর বেঙ্গলের যৌথ অভিযানে কেএনএফের আস্তানাটি ধ্বংস করা হয় এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রুমা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলমগীর হোসেন।

পরে রুমা জোনের মাল্টিপারপাস শেডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, “এই অভিযান সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে পরিচালিত। পাহাড়ি জনগণের প্রতি সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার।”

পর্যটন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেএনএফের অবস্থান পর্যটন এলাকা থেকে অনেক দূরে। তাই এই অভিযানে পর্যটন শিল্পে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আমরা আশাবাদী।”

তিনি আরও জানান, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।



ফেইসবুক পেইজ