বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম নগরীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’ অবশেষে সিএমপি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। ৪-৫ মাস আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সাজ্জাদকে ধরার জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি বিশেষ টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম।
কীভাবে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ল ছোট সাজ্জাদ?
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের নির্দেশনায় দীর্ঘ ৪-৫ মাস ধরে প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে ছোট সাজ্জাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলো পুলিশ। সাজ্জাদ কে ধরার জন্য সিএমপি উত্তর জোনের ডিসি আমিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকায় গোপন অভিযান চালান।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ইন্টেলিজেন্স টিম সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্ত করে, যা ছিল ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত আধুনিক শপিং মল বসুন্ধরা সিটি। সিএমপি পুলিশের সাদা পোশাকের একটি দল আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেয়। সাজ্জাদ যখন ঈদের শপিং করতে শপিংমলের একটি দোকানে প্রবেশ করে, তখনই তাকে গ্রেপ্তার করেন ডিসি আমিরুল ইসলাম। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের ৩০ মিনিট পর পাশের তেজগাঁও থানায় খবর দেওয়া হলে, সেখান থেকে পুলিশের একটি টিম এসে সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
কে এই ছোট সাজ্জাদ?
চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ। হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ১০টিরও বেশি মামলার আসামি সে। ছোট সাজ্জাদ চট্টগ্রামের কুখ্যাত ‘এইট মার্ডার মামলার’ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ আলী খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। বিদেশে বসে থাকা সাজ্জাদ আলী খান চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের জন্য ছোট সাজ্জাদকে ব্যবহার করত।